রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাত-দিনআমরণ অনশনের চব্বিশ ঘণ্টা পার হয়েছে। অনশনে গতকাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বেলা এগারেটা থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করে।
অনশনের কারণে গতকাল বুধবার পর্যন্ত তিনজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা হচ্ছেন- মাস্টার্সের রুহুল কুদ্দুস, চতুর্থ বর্ষের মুসাব্বির উল্লাহ এবং দ্বিতীয় বর্ষের নিশি খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আরও শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন- মাস্টার্সের সুলেখা খাতুন, লিজা আক্তার, মদিনা আক্তার ও জিমরান সাকিব, চতুর্থ বর্ষের তপুশ্রী স্যান্যাল, রওনক জাহান ও অর্পিতা বর্ধন, তৃতীয় বর্ষের আয়নাল হক, আরিফ খান, তুহিন ও জান্নাত ভিবা, দ্বিতীয় বর্ষের আবিদ হাসান, সাব্বির ও অর্ণব এবং প্রথম বর্ষের সাগর সরকার, নাঈম হাসান ও এনামুল। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
অনশনরত পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জিমরান সাকিব বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দিনের অনশন চলছে। এখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা আগের মতোই কেবল আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। বিভাগের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি হননি। এবিষয়ে লায়লা আরজুমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছে। এ নিয়ে কয়েকবার বিভাগের শিক্ষকদের সাথেও কথা হয়েছে। উপাচার্য এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি এলে এ বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। উপাচার্য আসা পর্যন্ত তাদের অনশন স্থগিত করার কথা বলেছি কিন্তু তারা শোনে নি।
এর আগে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচর্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া তাদের অনশণ তুলে নেওয়া কথা বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা যাবে না বলেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের নাম পরিবর্তনের লিখিত কোনো প্রমাণ বা ডকুমেন্ট না পেলে তারা অনশণ তুলে নেবে না বলে জানান।
প্রসঙ্গত , বাংলাদেশ কর্মকমিশনে বিষয়কোড অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১৯ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। এতে কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে তারা অনশন শুরু করেছেন।
আনন্দবাজার/শাহী