জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বিরোধী কমিটির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী দিদার রানা বলেন- পূর্বে নোটিশ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের অবগত না করে হঠাত এতো বড় শাস্তি দেয়া অনুচিত। আর আজ যারা আন্দোলনে নেমেছি আমরাও র্যাগের বিরোধী। আমাদের দাবি ইমরান এর র্যাগের সাথে জড়িত সন্দেহে যাদের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে তারা প্রকৃত অপরাধী নয়। আমরা চাই যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ক্লাস পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়া হোক এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ র্যাগিং না করে সে বিষয়ে সতর্কতা দেয়া হোক।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব সহ ৭জনের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন- শিক্ষার্থীরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছে। আমরা সেটি গ্রহন করেছি। আগামী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরী সিন্ডিকেট সভায় সিএসই বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানকে র্যাগিং এর অভিযোগে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের ২য় বর্ষের দুই শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে ৩ বছর ও তানভিরুল ইসলামকে দুই বছর এবং ইইই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসানকে দুই বছরের জন্যে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী লিয়োনাকে র্যাগ দেয়ার অভিযোগে শায়রা তাসনিম আনিকা ও তোয়াবা নুসরাত মীমকে ১ বছর করে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষাভ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আনন্দবাজার/শহক/বাহা