রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবির) প্রতিষ্ঠার একযুগ পার হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থায়ী কোন ম্যুরাল তৈরী হয়নি। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তাঁর অস্থায়ী প্রতিকৃততে ফুল দিয়ে দায়সারাভাবে সম্মান জানানো হয়। প্রায় এক যুগ পার হয়ে গেলেও ম্যুরাল তৈরির বিষয়ে কোন নজর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
চলতি বছরের ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শতবর্ষ পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশান। এ উপলক্ষে ক্ষণ গণনার জন্য একটি অস্থয়ী ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে ক্যাম্পাসের ২নং ফটকের সামনে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, স্থায়ী প্রতিকৃতি না থাকায় এই শতবর্ষের শ্রদ্ধাও জানানো হবে অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, এতো দিনেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন না হাওয়ায় আসলেই দুঃখজনক। তবে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টা নিয়ে খুবই আন্তরিক। মুজিব শতবর্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে ম্যুরাল স্থাপনের। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ২০০৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখন পযর্ন্ত ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী ম্যুরাল স্থাপন না হওয়াটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ সভাপতি প্রোমেল বড়ুয়া বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ হলেও এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দৃশ্যমান ম্যুরাল স্থাপন না হওয়া আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। এই ম্যূরালের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ লিখিত ও মৌখিকভাবে অনেকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই তা আমলে নেয়নি। প্রশাসন শুধু বলে- চেষ্টা করছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিন্তু এই পদক্ষেপ আর বাস্তবায়ন হয় না। এই মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত এবার হয়তো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে অনন্ত শ্রদ্ধানিবেদন করতে পারবো। কিন্তু এটিও হয়তো শুধু পদক্ষেপই থেকে যাবে।
আনন্দবাজার/শাহী