শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬৮ দেহ উদ্ধার

নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬৮ দেহ উদ্ধার

নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে ৭২ আরোহী নিয়ে টেক অফের ২০ মিনিটের মধ্যেই একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬৮ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলো ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি। তবে কাস্কি জেলার কাছে সেটি ভেঙে পড়ে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পুরাতন বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চার জন ক্রু ছিলেন। খবর: কাঠমান্ডু পোস্ট।

ইয়েতি এয়ারলাইন্স সংস্থার মুখপাত্র সুদর্শন বার্তোলা এএফপিকে বলেছেন, কেন উড়োজাহাজটি ভেঙে পড়ল, জানি না। কেউ জীবিত রয়েছেন কি না, তা-ও বলতে পারছি না। ভেঙে পড়া মাত্রই সেটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। আগুন নেভানোরও কাজ চলছে। কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিওতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা গুরুদত্ত ঢকাল এএফপিকে বলেছেন, ধ্বংসাবশেষে আগুন লেগেছে এবং উদ্ধারকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রনাধীন নেপাল টেলিভিশন জানিয়েছে. দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এআরটি এয়ারক্রাফটে যাত্রীদের মধ্যে দশ জন বিদেশি। বাকিরা স্থানীয়। তবে কোন কোন দেশের নাগরিক সেটি তাৎক্ষণিভাবে জানাতে পারেনি ইয়েতি এয়ারলাইন্স।

ধ্বংসাবশেষে আগুনের কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধার অভিযানে আরও বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলে জানান নেপালি সাংবাদিক দিলীপ থাপা।

দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে। পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের কাছাকাছি সময়ে সেটি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। টেক-অফের প্রায় ২০ মিনিট পরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিলো। ধারণা করা হয়েছিলো যে উড়োজাহাজটি হয়তো নামতে পারে। দুই শহরের মধ্যে ফ্লাইট সময় ২৫ মিনিট।

আরও পড়ুনঃ  নেপালে ১৬ ভারতীয় ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ

প্রসঙ্গত, নেপালের এয়ারলাইন ব্যবসার নিরাপত্তা এবং কর্মীদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে গোটা বিশ্বে। এর আগেও নেপালে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় শতশত মানুষ মারা গেছে। সবশেষে গত মে মাসে নেপালি ক্যারিয়ার তারা এয়ারের একটি ফ্লাইটে থাকা ২২ জনের সবাই বিধ্বস্ত হবার সময় মারা গিয়েছিলো।

এর আগে কাঠমান্ডুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বিধ্বস্ত হলে ৫১ জন নিহত হয়। ১৯৯২ সালের পর সেই দুর্ঘটনাটি নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ ছিলো। ওই বছর কাঠমান্ডুতে যাওয়ার সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ১৬৭ জন যাত্রীর সবাই মারা যায়।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন