রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ ঘনাতেই বাড়ছে কেনাকাটা

  • ফরিদপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর জমেনি ঈদের কেনাকাটা। এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় নেই বিধিনিষেধ। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে জমতে শুরু করেছে ফরিদপুরের ঈদের বাজার। দিন যত যাচ্ছে জেলার ছোট-বড় শপিংমল, মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। গত দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। আর ঈদ উদযাপনে ক্রেতারা খুঁজছেন শখ, সাধ্য আর পছন্দের পোশাক। ফরিদপুরে সকাল থেকে ঈদ বাজার জমতে শুরু করলেও ভিড় বাড়ছে সন্ধ্যার পর থেকে। জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট খোলা থাকছে রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস ও জুয়েলারি দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি তত বাড়ছে। দোকানিরা বলছেন, ১০ রোজার পর থেকে এবার জমে উঠেছে ঈদ-কেন্দ্রিক কেনাকাটা। তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে পুরোদমে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা আর ক্রেতাদের উপস্থিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটগুলো।

গত সোমবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদকে উপেক্ষা করে সাধ ও সাধ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্যই মার্কেটে এসেছেন ক্রেতারা। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মহিলারা কানের দুল, চুড়ি, গলার মালা, টিপ, ব্যাগ, জুতোসহ ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিস কিনছেন। অন্যদিকে ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি ক্রয় করছে। তাই ক্রেতারা অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন ফরিদপুর  নিউ মার্কেটে। দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে মাঝে মাঝে সাথের মানুষটিকেও হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। কেউ আবার পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য দোকানের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না। তবুও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়ও।

আরও পড়ুনঃ  রাজনৈতিক দলে ৩৩% নারী সম্পৃক্ত করার দাবিতে চকরিয়ায় মানববন্ধন

ফরিদপুর নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা সুমা বেগম নামে একজন ক্রেতা বলেন, ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি, সাধ্যের মধ্যে বেশ কিছু শাড়ি, থ্রি পিচ, স্বামীর জন্য একটা পাইজামা ক্রয় করেছি।  তিনি আরও বলেন,  সাধ্যের মধ্যে নিউমার্কেটে ভালো থ্রি পিস, শাড়ি  পাওয়া যায় তাই  তিনি নিউমার্কেটে এসেছেন।

নিউ মার্কেটের দোতলায় অরবিন্দ নামে একজন দোকানিকে কেমন চলছে বেঁচাকেনা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানালেন, অনেকে উপরে উঠতে চায় না তাই বিক্রি কিছুটা কম। তবে সামনে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।এদিকে নিউ মার্কেটের আশেপাশে অনেকেই ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছেন। তারা মেয়েদের বিভিন্ন সাজানি ও ঘরের ছোটখাট আসবাবপত্র বিক্রি করছেন। তবে নিউ মার্কেটের ভেতরের চেয়ে বাইরের ভিড়টাই যেন চোখে পড়ার মতো। এসব মার্কেটগুলোও ঈদ উপলক্ষে ব্যাপকভাবে জমে উঠেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হরদম বিক্রি হচ্ছে এসব মার্কেট গুলোতে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ মাঠে রয়েছে। মার্কেটগুলোতে চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশের টহল টিমও সক্রিয় রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন