শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ বছরের কাজ ২৪ ঘণ্টায় করবে নতুন সুপার কম্পিউটার

২৫ বছরের কাজ ২৪ ঘণ্টায় করবে নতুন সুপার কম্পিউটার

করোনার চিকিৎসা থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের উৎপত্তির রহস্য উন্মোচন এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণায় ব্যবহৃত এই যন্ত্রের নাম সুপার কম্পিউটার। এসব কম্পিউটার সেকেন্ডে কোয়াড্রিলিয়ন গণনা করতে সক্ষম। বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির বিশ্বে কে কার থেকে এগিয়ে থাকবে তা নির্ধারণ করছে এই সুপার কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটার নিয়ে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতার তালিকায় এবার নাম লেখিয়েছে আন্দালুসিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাডা। গত মঙ্গলবার স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি আলাবাইসিন নামের নতুন একটি সুপার কম্পিউটার উদ্বোধন করে। যার প্রসেসিং ক্ষমতা ৮২২ টেরাফ্লপ। সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন হিসাব সম্পন্ন করার ক্ষমতাকে বলে এক টেরাফ্লপ।

বর্তমানে গবেষণা পরিচালনা করতে দ্রুত গতির শক্তিশালী প্রসেসিং ক্ষমতাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের বিকল্প নেই। এ কাজ সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে সম্ভব নয়। পাশাপাশি কয়েক লক্ষ প্রসেসরের সমন্বয়ে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্য দিয়ে নিমিষেই জটিল সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে পারে এসব কম্পিউটার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিলার আরান্দা জানান, আন্দালুসিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাডা ছাড়াও অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৫টি রিসার্চ গ্রুপ এবং ৫০০ জন বিজ্ঞানী এই সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন এই সুপার কম্পিউটাটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১.৩৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। আলবাইসিন শুধু গবেষণার সময়ই কমাবে না, সেইসাথে ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাডার বাইরে গবেষণা কর্ম সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।

পিলার আরান্দা বলেন, আগে আমাদের পক্ষে যেসব কাজ করা অসম্ভব ছিল, এখন সেগুলো সম্ভব হবে। শুধু গ্রানাডা ইউনিভার্সিটিই নয়, আন্দালুসিয়ান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও কম্পিউটারটি ব্যবহার করবে। সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের মাধ্যমে আমরা উদাহরণ তৈরি করতে চাই।

আরও পড়ুনঃ  তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ১৪১৫ কোটি টাকা

কিন্তু আলবাইসিন গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সুপারকম্পিউটার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা এবং কম্পিউটার টেকনোলজির অধ্যাপক বেগোনা দেল পিনো প্রিয়েতো জানান, গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয় আরও ৩০ বছর আগে সুপারকম্পিউটিংয়ের জগতে প্রবেশ করে।

আলবাইসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি তৃতীয় সুপার কম্পিউটার। কিন্তু প্রথম প্রকল্পটির চেয়ে বহুগুণে এগিয়ে রয়েছে আলবাইসিন। এর আগে ২০০৭ সালে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সুপার কম্পিউটারের চেয়ে আলবাইসিন ২০০ গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন। ২০১৩ সালে উদ্ভাবিত দ্বিতীয় সুপার কম্পিউটারের চেয়ে এটির দ্রুততা ২০ গুণ বেশি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন