বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির পথে দেশ

জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির পথে দেশ

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি অনুসারে সারা দেশে আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্র তৈরি, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি এবং আরও অনেক ডিজিটাল অবকাঠামো এবং সেবা চালু করা হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে ধাবিত হবে। সম্প্রতি টেলিনর গ্রুপের সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইউনিট ‘টেলিনর রিসার্চ’র প্রযুক্তি নিয়ে পূর্বাভাসের প্রতিবেদনের সপ্তম সংস্করণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রূপকল্প ২০২১-এর লক্ষ্যমাত্রা কেবল অর্জনই করিনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করতে পেরেছি। তরুণদের জন্য, বিশেষ করে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (সংক্ষেপে ‘শিফট’) নির্মাণ করা হয়েছে।বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকায় গ্রামীণফোন ও টেলিনরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, টেক ট্রেন্ডস থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো নিয়ে কাজ করতে কিংবা এগুলোর বিকাশে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় তা নিয়ে কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, সার্ভার ও অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক কোনো কিছু ডিজাইন করার সময় সবুজায়নের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে; একইসঙ্গে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রাত্যহিক জীবনে কীভাবে এগুলোর প্রয়োগ ঘটাতে পারে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোক্তাদের আকর্ষণ করতে নতুন ডিজাইন বাজারে আনার চেয়ে পরিবেশের জন্য কিছু করতে চাইলে পণ্যের স্থায়িত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং সেন্টারকে ক্লাইমেট মাইক্রো ডিগ্রি ও কোর্সের ব্যাপারে নজর দিতে হবে। কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কাজ করা যায় কোর্সগুলোর মাধ্যমে মানুষ তা শিখতে পারবে।

টেলিনরের হেড অব রিসার্চ বিয়ন টালে স্যান্ডবার্গ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয় নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে সর্বত্রই মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে। প্রযুক্তি কীভাবে সমস্যার অংশ না হয়ে পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে টেলিনরে তা অনুধাবন করাটাই আমাদের জন্য জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধের কারণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ক্রমাগত জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে চরম জলবায়ুজনিত বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, যা আমাদের টেকসই অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, জলবায়ু-বান্ধব কৌশল গ্রহণ করা, যা সবুজে রূপান্তরের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখবে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন