শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ শিল্পস্থাপন

শের-ই বাংলা হাইটেক পার্ক

অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের স্মৃতিধন্য পূণ্যভূমি বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে তার নামে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ থমকে আছে। কয়েক দফায় সম্ভাব্যতা যাচাই আর স্থান পরিদর্শন করা হলেও হাইটেক পার্ক স্থাপনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির উপ-সচিব জোহরা বেগম ঐতিহ্যবাহী চাখার ইউনিয়নের সোনাহার-সাকরাল গ্রামে সন্ধ্যা নদীর তীরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন।

সে সময় উপ-সচিব জোহরা বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শের-ই বাংলার পূণ্যভূমি চাখারে তার নামে প্রস্তাবিত হাইটেক পার্কের স্থান পরিদর্শন করছি। ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

ওইদিন উপ-সচিবের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অ্যাসিটেন্ট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী মাহাবুল আলম, তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখারের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার, বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার প্রমুখ। তবে তারপর অনেক দিন কেটে কেটে কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রমতে, ২০১২ সালে তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি সন্ধ্যা নদীর তীরে হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার প্রচেষ্টায় ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর পিএস ও সচিব নজরুল ইসলাম খানসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুনঃ  মেসেঞ্জারে আসছে ফেস আইডি, বাড়ছে নিরাপত্তা

সে সময় চাখারের সোনাহার-সাকরাল গ্রামের সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল চরের পাশাপশি বিকল্প হিসেবে চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের সম্পত্তিতে হাই-টেকপার্ক স্থাপনের জন্য প্রস্থাব দেওয়া হয়। এর দুই বছর পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মনিরুল ইসলাম মনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রক্রিয়া থমকে যায়।

এরপর ২০১৭ সালে এসে মনিরুল ইসলাম মনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থমকে যাওয়া হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম পুণরায় শুরু করার জন্য আবেদন করেন। ফলে একই বছরের ১২ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা প্রস্তাবিত হাইটেক পার্কের স্থান পরিদর্শনে আসেন।

তবে দফায় দফায় স্থান পরিদর্শন করা হলেও হাইটেক পার্ক স্থাপনের বাস্তব রূপ কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। স্থানীয় সচেতন মহল শেরে বাংলার পূণ্যভূমিতে তাঁর নামে হাইটেক পার্ক স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন