ভারতের কাছে হেরে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা মুছে গেল বাংলাদেশের।এর আগের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ছিল টাইগার যুবারা। এবারও আশা ছিল ট্রফি ঘরে আনার। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তকমা আর থাকছে না বাংলার যুবাদের।
শনিবার অ্যান্টিগায় ভারতের কাছে রাকিবুল হাসানের দল ম্যাচ হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে ১১১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলার যুবারা। জবাব দিতে নেমে ১১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশকে জবাব দিতে নেমে শুরুতে একটু বিপদেই পড়েছিল ভারত। ৩ বলে ০ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন হারনর সিং। এরপর দলের হাল ধরেন শেখ রশিদ ও আঙ্কিস রাঘুবংশী। দুজন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি।
৫৯ বলে ২৬ রান করা শেখ রশিদকে রিপন মণ্ডল সাজঘরে ফেরালে এই জুটি ভেঙে যায়। এরপর রাঘুবংশীর সঙ্গী হন অধিনায়ক ইয়াশ ঢুল। কিছুক্ষণ পর ৬৫ বলে ৪৪ রান করা রাজবংশীও শিকার হন রিপনের।
আরও দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে নেন তিনি। ম্যাচে ফেরার বার্তাই যেন দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্যটা এতই কম, বেশি কিছু করার ছিল না বোলারদের। ২৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ভারতীয় অধিনায়ক ঢুল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাবি কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন মাহফিজুল ইসলাম।
১৭ বলে ১ রান করেন আরেক ওপেনার ইফতেখার আহমেদ। ১৯ বলে ৭ রান করে আউট হন প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও। মাঝে কিছুক্ষণ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আইচ মোল্লা। কিন্তু ৪৮ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন তিনি। ৫৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা।
এরপর টাইগার যুবাদের পথ দেখাচ্ছিলেন মেহরব ও আশিকুর। দুজন মিলে গড়ে তুলেন ৫১ রানের জুটি। কিন্তু ৪৮ বলে ৩০ রান করেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে যান মেহরব। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেননি উইকেটরক্ষক বানা।
২৯ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন আশিকুরও। বাংলাদেশের ইনিংসটাও আর লম্বা হয়নি, থামতে হয় ১১১ রানে। ভারতের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রাবি কুমার। ৭ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে হারলেও বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে না এখানেই। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে ৩১ জানুয়ারি সুপার লিগ প্লে অফ সেমিতে লড়বে বাংলাদেশের যুবারা।
আনন্দবাজার/শহক