শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের

টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রত্যাশিতভাবে সিরিজও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল বাংলাদেশ। তবে এরমাঝেও অস্বস্তি পুরোপুরি সরানো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে দুজনের রানে ফেরা জরুরি সেই লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত যে আরও একবার ব্যর্থ। তবে, এদিন আরও একবার দলকে টেনে নিজের সামর্থ্য দেখান তাওহিদ হৃদয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় ম্যাচে রোডেশিয়ানদের ৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। হ্যাটট্রিক জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (০৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।

জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪ রান করেছেন ফারাজ আকরাম। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ভুগেছে জিম্বাবুয়ে। দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও উইকেটে থিতু হতে পারেননি জয়লর্ড গাম্বি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮ রান করা এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গত ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা ব্রায়ান বেনেট আজ রান তাড়ায় ব্যর্থ হয়েছেন। তিনে নেমে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সিকান্দার রাজা ও ক্রেগ আরভিন। তাতে দলীয় অর্ধশতকের আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা। লোয়ার মিডল অর্ডারে কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। জোনাথন ক্যাম্পবেল-ওয়েলিংটন মাসাকাদজারা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতায় ৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও অন্তত পুরো ২০ ওভার খেলতে সাহায্য করেছেন ফারাজ আকরাম।

আরও পড়ুনঃ  আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

এদিন আগে নতুন বলে বেশ ভুগেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। বিশেষ করে মুজারাবানিকে খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের। ধীর গতির শুরুর পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি লিটন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মুজারাবানিকে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন মাত্র ১২ রান। তিনে নেমে দ্রুত ফিরেছেন অধিনায়ক শান্তও। ৪ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। কিছুটা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ২১ রান।

দলের ৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেটে এই দুইজন মিলে যোগ করেন ৮৭ রান। ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। তবে, জাকের ফিফটির কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। ৩৪ বলে করেছেন ৪৪ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেছেন ৪ বলে অপরাজিত ৯ রান।

জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুজারাবানি। এই পেসার ৪ ওভার বোলিং করে ১৪ রানে শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তাছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন