শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল তিন রানের, আর বাংলাদেশের এক উইকেট। বাংলাদেশ শেষ উইকেটটি যখন নিতে পারলো, ততক্ষণে ম্যাচে সমতায় পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। পাকিস্তানের দেওয়া ৮ রানের লক্ষ্যটা শেষ বলে চার মেরে জিতিয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এরই মধ্যদিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বাংলাদেশের নারী দলকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতত্ব দেওয়ার রেকর্ড ভেঙেছেন। ১৯তম ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করে পেছনে ফেলেছেন ‍রুমানা আহমেদকে।

প্রসঙ্গত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাহিমার শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৩ রান নিতে না পারলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করে নাহিদার বলে ৭ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১ উইকেট হারালেও সোবহানা মোস্তারি ও নিগারের দুই চারে পাকিস্তানের বিপক্ষে সপ্তম জয় পায় বাংলাদেশ।

এ নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে এনিয়ে সপ্তম ওয়ানডে জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি জয় পেয়েছিল তারা, যার তিনটি ঘরের মাঠে কক্সবাজারে। বাকি তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ৩ ভেন্যুতে। এর আগে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার সাদাফ শামাস ও সিদ্রা আমিন মিলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। সিদ্রাকে ২২ রানে ফিরিয়ে দেন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। স্কোরবোর্ডে আরও এক রান যোগ হতেই পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার বিসমাহ মারুফকে (০) সাজঘরে ফেরান রাবেয়া খান, নিগার ক্যাচ নেন। এরপর আলিয়া রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে সাদাফ বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। নিশিতা আক্তার নিশি ২৯ রানে তাকে রাবেয়া খানের ক্যাচ বানান। তারপরও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকানোর সুযোগ নিয়ে জয়ের পথেই ছিলে পাকিস্তান। কিন্তু লেট অর্ডারে পাকিস্তানের তিন ব্যাটারের রান আউট ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাদেরকে। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে শেষ ব্যাটার নাশরা সান্ধু রান আউট হলে পাকিস্তানকে ১৬৯ রানে থামায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া ২৯ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মারুফা, নাহিদা, নিশিতা ও ফাহিমা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের সঙ্গে ৮২ দেশের বাণিজ্য ঘাটতি

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরস্থির ভাবে করলেও ২১ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। মুর্শিদা খাতুন (১২) আউট হওয়ার পর সোবাহানা থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও আউট হন ১৬ রানে। তৃতীয় উইকেটে ফারাজানা হককে নিয়ে অধিনায়ক নিগার ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আউট হন ফারজানা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার। অন্যদের কাছ থেকে উপযুক্ত সঙ্গ না পেলেও তার সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ৯৯ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে শেষ ব্যাটার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নিগার। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল ও সান্ধু। ১টি করে উইকেটে নেন ডায়ানা বেগ, নিদা দার ও উম্মে হানি।

বাংলাদেশের অধিনায়ক তিন ডিসমিসাল ও ইনিংস সেরা রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন