শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত ঈশ্বরদীর কারিগররা

প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত ঈশ্বরদীর কারিগররা

উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহাসম্মেলন হয় বলে পূজাকে বলা হয় সার্বজনীয় প‚জা। আর শরৎ কালে হয় বলেই বলা হয় শারদীয় উৎসব। সেই শারদীয় দুর্গাপ‚জা দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই মহোৎসবকে সামনে রেখে কাঁদামাটি, খড়-কাঠ আর প্রতিমা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে কারিগরদের। নিখুঁতভাবে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ শিল্পীদের। চলতি মাসের ২০ তারিখ শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের এ উৎসব। ইতোমধ্যে অনেক মন্ডপে মাটির কাজ প্রায় শেষ করেছে শিল্পীরা।

মূর্তি গড়া শেষে রং তুলির কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিড়ে হিন্দুপাড়া ও মহল্লগুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ বিরাজমান।

ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জা। প্রতিটি মন্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা। মন্ডপের এক কোনে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিমা রং আর সাজসজ্জার কাজ করছেন কারিগররা। ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গার পূর্ণ অবয়ব। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের সনাতন ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচার, পৌরাণিক কাহিনি ও পার্বণের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মানুষকে সচেতন করার অনন্য আয়োজনে প্রতিমা নির্মাণ। মন্ডপের সামনে বিশাল জলাধারে কৈলাস পর্বতের চূড়ায় ধ্যানমগ্ন মহাদেব। তারই জটায় মা গঙ্গা ঝরণারূপে নেমে আসছে। পাদদেশে রাম, সীতা, লক্ষণ আর ভক্ত হনুমান। পর্বতের চূড়ায় মেঘের ভেলা।

আরও পড়ুনঃ  চূড়ান্ত হলো ২০২৩ এশিয়ান কাপের সূচি

পুকুরে ভাসমান পদ্ম আর হংসের নান্দনিক উপস্থাপন। ডিজিটাল আলোকসজ্জার অসাধারণ আবহ শিল্প মাধ্যমের আপূর্ব সংযোজন নিয়েই মগ্ন প্রতিমা নির্মান শ্রমিকরা।

ঈশ্বরদী উপজেলায় এবার মোট ৩২টি মন্দিরে দুর্গাপ‚জা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌর এলাকায় রয়েছে মোট ৮টি মন্দির। ঈশ্বরদী উপজেলা প‚জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী বলেন, ঈশ্বরদী সবসময় সব ধর্মের লোকের সহযোগিতায় আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়। দুর্গাপ‚জাসহ সব পূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে স্থানীয়, থানা ও উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা লক্ষণীয়।

ঈশ্বরদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি আনসার ও ভিডিপি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন