শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্রুপিংয়ের অভিযোগ

তামিম বললেন ‘সব স্বাভাবিক’

তামিম বললেন ‘সব স্বাভাবিক’

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, লম্বা সময় ধরেই দলের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। আর তাতে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের খারাপ সম্পর্ক প্রভাব বিস্তার করেছে বেশি। আজ (রবিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় দলের আবহাওয়া অনেক দিন ধরেই ভালো। দলের অবস্থা দেখলে বুঝবেন। আমি কোনও পার্থক্য দেখি না, সবকিছুই স্বাভাবিক।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আর কিছুতে সমস্যা নেই উল্লেখ করে নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, আমি শুধু এই গ্রুপিং নিয়ে ভীত এবং সম্প্রতি এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপের পর আমি যা শুনেছি। বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব। ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে এর অবসান ঘটাতে হবে। সব ক্রিকেটারকেই বুঝতে হবে এখানে গ্রুপিংয়ের কোনও সুযোগ নেই।’

বোর্ড প্রধান সরাসরি কিছু না বললেও ড্রেসিরুমে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সম্পর্কের ব্যাপারটি ওপেন সিক্রেট। এই দু’জন খুব প্রয়োজন ছাড়া একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন না। এ ব্যাপারে কেউ কখনও আনুষ্ঠানিক কিছু না বললেও সবার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা আছে। এবার সাকিব-তামিমের শীতল সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে হলো বোর্ড প্রধানকে। সভাপতি নাজমুল হাসান অভিযোগ করেছেন, ‘ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাভাবিক নেই। এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুমের চিত্র নয়। আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি, জিনিসটা (তামিম ও সাকিবের মাঝে সম্পর্কের ফাটল) এমন না যে আমি সমাধানের চেষ্টা করিনি। দু’জনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বুঝতে পেরেছি, এই মুহূর্তে দুজনের এই সমস্যা সহজে সমাধান হবে না। এটা আমার পর্যবেক্ষণ।’

আরও পড়ুনঃ  রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ

তবে এ বিষয়ে তামিমও পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। তবে ড্রেসিংরুমে এই সম্পর্ক কোন প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন না তিনি, ‘আমার কাছে মনে হয় সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো আমি-সাকিব যখন বাংলাদেশ দলের জার্সি পরে মাঠে নামি, তখন আমি আমার সেরাটা দেই, সে তার সেরাটা দেয়। আমি যখন অধিনায়কত্ব করি তখন যেকোনও পরামর্শ চাই। সে আমাকে পরামর্শ দেয়। আবার সে যখন অধিনায়কত্ব করে তখন তার কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সেটার জন্য প্রস্তুত থাকি। এর বাইরে কিছু নেই। ’

তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসগুলো যদি ঠিক থাকে…আমি একটা সংস্করণের অধিনায়ক, যখনই আমার সহায়তার প্রয়াজন হয় সে করে। আমি আপনাকে এটা নিশ্চিত করছি সে যখন অধিনায়কত্ব করে এবং আমি টেস্ট খেলি, পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সবসময় আছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এর বাইরে কিছু নেই। ’

আনন্দবাজার/কআ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন