বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ইতালির যাওয়ার কথা থাকলেও ইতালি দূতাবাস ভিসা না দেওয়ায় আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার ইতালিয়ান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা দাবা ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশের দলনেতা মাহমুদা হক চৌধুরি মলির কছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার দাবা ফেডারেশনে শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে ইতালির ভিসা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
তখন মলি বলেন, ‘গতকাল ইতালিয়ান দূতাবাস আমাকে ডেকেছিল। সেখানে আমি তাদের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। সেই কর্মকর্তা বারবারই আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এতবার দুঃখ প্রকাশ করায় এক পর্যায়ে আমি ‘ ইটস ওকে’ বলেছি। পরবর্তীতে যে কোনো ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন’।
এদিকে গতকাল ইতালিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তা বাংলাদেশ দলকে পুনরায় আবেদনে ভিসার নিশ্চয়তার কথা জানালেও না করে দিয়েছেন মলি,‘ তারা বলেছিলেন পুনরায় আবেদন করলে দ্রততম সময়ের মধ্যে ভিসা দেয়ার। টুর্নামেন্ট ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তাই বিষয়টি সম্ভব নয় বলে না করে দিয়েছি।’
১১-২৩ অক্টোবর ইতালির সার্দিনিয়া শহরে টুর্নামেন্ট ঘিরে দাবা ফেডারেশন সকল নিয়ম-নীতি,বাংলাদেশ সরকারের আদেশপত্র নিয়েই আবেদন জমা দিয়েছিল। এরপরও ইতালিয়ান দূতাবাস বাংলাদেশ দলকে ভিসা দেয়নি। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে দাবা ফেডারেশন।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন,‘ আমরা ফিদেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। এবার আমরা যে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি ভবিষ্যতে যেন অন্য দেশ না হয় কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি আরো জানান, বিমান টিকিট ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে বাংলাদেশের কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণের জন্য ফিদের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষতিপূরণ পাবার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আনন্দবাজার/কআ