সাফের ইতিহাসে আজ দিনটা বাংলাদেশের। দিনটা কৃষ্ণা-শামসুন্নাহারের। দশরথ স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরার মুকুট মাথায় তুললো সাবিনা-কৃষ্ণারা। সোমবার ফাইনালে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো বাঘিণীরা।
ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাকে। আগের ম্যাচের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও তাকে শুরুর একাদশে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
তবে খেলার ১৩তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে লিড পায় বাংলাদেশ। পায়ের চোট নিয়ে ১০ মিনিটের মাথায় স্বপ্নার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন শামসুন্নাহার। আর মাঠে নেমেই তিন মিনিটের মাথায় লাল-সবুজকে শুভ সূচনা এনে দেন তিনি। ডান দিক থেকে মণিকা চাকমার ক্রস পেয়ে ডি বক্সে থাকা শামসুন্নাহার পায়ের কিকে নেপালের জালে বল জড়ান।
ফাইনালের দ্বিতীয় গোলটি আসে ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকারের পা থেকে। ম্যাচের ৪১ মিনিটে নেপাল গোলরক্ষককে একা পেয়ে দুর্দান্ত শটে তার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ২-০ করে উচ্ছ্বাসে ভাসান কৃষ্ণা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে নেপাল। আক্রমণের ঝড়ের ফল মেলে ৭০ মিনিটে। এবার বাংলাদেশের জালে বল জড়ান আন্তা বাসনেত। গোল হজম করার পর ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণেই বেশি সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ৭৭ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা
দ্বিতীয়ার্ধ্বে একটি গোল শোধ দিলেও ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে পঞ্চমবারের মতো রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় হিমালয় কণ্যাদের।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি গোল করেনছেন কৃষ্ণা রানি সরকার। আর ১টি গোল করেন শামসুন্নাহার। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আন্তা বাসনেত।
এর আগে গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে, পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে ও প্রতিবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩-০ হারায় বাংলাদেশ। পরে সেমিফাইনালে ভুটানকে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলার মেয়েরা।
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতবিহীন ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগের পাঁচ আসরেই ফাইনালে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিলো ভারত। এবার সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে। নেপালের জন্য এটি ছিলো শিরোপাহীন ৫ম ফাইনাল।
আনন্দবাজার/কআ