শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাইনালিসিমা আর্জেন্টিনার

ফাইনালিসিমা আর্জেন্টিনার

ল্যাটিন শৈলি হারিয়ে যায়নি প্রমাণ করলেন মেসিরা। ইউরো-লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ইতালিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত ফাইনালিসিমা এখন আর্জেন্টিনার। ওয়েম্বলিতে কোপা চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ, ডি মারিয়া ও দিবালা। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে টানা ৩২ ম্যাচের অপরাজিত থাকার রেকর্ড এখন আর্জেন্টাইনদের।

লাতিন ভার্সেস ইউরোপ ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের নতুন নাম ফাইনালিসিমা। ৯০ মিনিটের নতুন
শিরোপায় প্রথম হাত রাখার মিশনে আর্জেন্টিনা-ইতালি। আর এই ইতিহাসের সাক্ষী হতে ৮৭ হাজার দর্শকে ঠাসা
ওয়ম্বলির গ্যালারি।

হাইভোল্টেজ ম্যাচ, তবে শুরুটা ঢিমে তালে, একটুপরই অবশ্য রঙ বদলে রূপ নেয় স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধে। ইতালির পোস্টে ২৫ মিনিটে মেসির নেয়া শটে প্রেসিং শুরু আলবিসেলেস্তাদের। মেসির শট প্রতিহত করে ইতালির
গোল রক্ষক দোন্নারুমার।

কিন্তু থেমে থাকেনি মেসি। ৩ মিনিট পর মেসি ম্যাজিক। ইতালির জমাট রক্ষণের কড়া পাহারা ভেদ করে বারবারই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন মেসি। ১৫ থেকে ২৪ মিনিটের মধ্যে তিন-তিনবার ইতালির রক্ষণ ভেদ করে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু, গোল পাননি বা অন্য কাউকে দিয়ে গোল করাতে পারেননি।

অবশেষে ২৭ মিনিটে আসে সেই সফলতা। মেসি ইতালির পেনাল্টি বক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে রক্ষণচেরা এক পাস দিলেন লাউতারো মার্তিনেজকে। ডান পায়ের আলতো ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন তিনি।

মিনিট ৪৫ পর চলছে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের খেলা। মাঝ মাঠ পেরিয়ে লাউতারো মার্টিনেজের বাড়ানো বল সতীর্থের গতি, কিয়েল্লিনিকে পেছনে ফেলে ডি মারিয়ার ট্রেড মার্কচিপ, ব্যবধান ২-০।

দ্বিতীয়ার্ধেবার দুয়েক বল পেয়েও যেন শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত ডি মারিয়া। গোল মিসের তালিকায় ছিলেন
আর্জেন্টিাইন ম্যাজিশিয়ানও। যোগ করা সময়ে ইতালির বক্সের সামনে বলে নিয়ন্ত্রণ হারান মেসি, ফিরতি বলে পাওলো দিবালার হাইবোল্টেজ কিক। ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা, এরপর আর ম্যাচে ফিরতে
পারেনি ইতালি।

আরও পড়ুনঃ  আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম পানির নিচে

ম্যাচটি ছিল মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার যে লড়াইয়ে অনেক বছর ধরেই ইউরোপের জয়জয়কার। সর্বশেষ ৪টি বিশ্বকাপই গেছে ইউরোপে।

লাতিন আমেরিকান ফুটবল ইউরোপের সঙ্গে আর পেরে উঠবে কি না, এই প্রশ্ন তাই উঠেই গিয়েছিল। সেটির কী দারুণ জবাবই না দিল আর্জেন্টিনা। টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ওয়েম্বলিতে খেলতে নেমেছিল স্ক্যালোনির দল। একদিক থেকে সেই দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও ছিল এই ম্যাচ।

স্ক্যালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান দলের সঙ্গে খেলা। তাতে ১৯৯৩ সালে এর আগে সর্বশেষ ফাইনালিসিমার মতো এবারও জয়ী কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৯৩ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের নামটা কি মনে আছে? আর্জেন্টিনাই। এবারের জয়টা হয়তো আরও বেশি আধিপত্য দেখিয়ে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন