ঢাকা | শুক্রবার
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরেই চট্টগ্রামের মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই

চলতি বছরেই চট্টগ্রামের মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই

চট্টগ্রামে আগামী বছরে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এ বছরেই শেষ করতে হবে। জনগণের দাবি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিতে এটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাতে আগামী বছরের শুরুতে এটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করতে পারেন সে দিকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবহন মাস্টার-প্লানসহ মেট্রোরেলের সমীক্ষার প্রিলিমিনারি সার্ভে কাজ’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোইকা চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৭ কোটি টাকা বলে সভায় জানানো হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুরনো চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট, চকবাজার ও বহদ্দারহাট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ডে করা যেতে পারে। খরচ তিন গুণ বেশি হলেও এটাই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। অন্য এলাকায় ওপর দিয়ে তা করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের মেট্রোরেল নিয়ে দাবি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী দুই-আড়াই বছর আগে এ বিষয়ে আলাপ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ দেখতে পান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের প্রয়োজন রয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে ভোগান্তি পোহাতেই হবে। তবে জনভোগান্তি যাতে কম হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে সুন্দরভাবে সমন্বয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করা যাবে না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মালেকও বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন