ঢাকা | শুক্রবার
২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৫৯১ ডলার

মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৫৯১ ডলার

২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একই সময়ে জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে, যা সাময়িক সময়ে ছিল ৫.৪৩ শতাংশ। এ সময় জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক-শ্রমিক ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাবে এসব তথ্য উঠে এসেছে। একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিবিএসের এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এখানে কোন ম্যাজিক কাজ করেনি বরং এটা প্রত্যাশিতই ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের ফিগার, যে কেউ এটা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। আমরা সামগ্রিকভাবে ভালো করেছি বলেই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বছর শেষে বিদ্যুৎ খাতে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। সার্বিকভাবে শিল্প খাতে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই খাতের মধ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, ব্যাংক ও বিমা খাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, শিক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এক্সপোর্ট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এছাড়া রেমিটেন্স ২৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত অর্থনীতির আকার বেড়েছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ওমিক্রনের সময়ও পিছিয়ে নেই। আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। ব্যক্তি বিনিয়োগ বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আমাদের রেভিনিউ ১৪ শতাংশ বেড়েছে। কাজেই এসব কারণেই মোট জিডিপির পরিমাণ বেড়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির কারণে আমাদের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন