ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে বাড়বে ইস্পাতের চাহিদা

ভারতে বাড়বে ইস্পাতের চাহিদা

ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ইস্পাতের চাহিদা। এমন ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকবেচলতি বছর। চাহিদা পূরণে ইস্পাত কোম্পানিগুলো ধাতব পণ্যটির উৎপাদন বাড়াচ্ছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কমে যাওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়ন চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বন্ড ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বেগবান হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার পরিকাঠামো নির্মাণ খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে। এ দুটি বিষয় দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে টেকসইভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করছে। ভবন নির্মাণকাজে বিপুল পরিমাণ ইস্পাতের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

মুডিসের পাশাপাশি ইস্পাতের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনও। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মহামারী প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে ভারতে ইস্পাতের চাহিদা ১২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে। কিন্তু গত বছর এ পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নেয়। চাহিদায় শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ঘটে। সেজন্য চলতি বছর দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরো ভয়ানক আকার ধারণ করলে এ পূর্বাভাসে পরিবর্তন আসতে পারে।

তথ্য অনুযায়ী, করোনার দুটি ঢেউ শেষে পরিস্থিতি যখন কিছুটা উন্নতির দিকে, তখনই আঘাত হানে ওমিক্রন। আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণপ্রবাহ। মহামারী মোকাবেলায় দেশটির কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। উদ্দেশ্য ইস্পাত শিল্প এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতকে এর প্রভাবমুক্ত রাখা। পর্যাপ্ত সাবধানতার সাথে টিকাদান কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে।

কেয়ার রেটিংস সম্প্র্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২২ সালে ভারতে ইস্পাতের ব্যবহার বেড়ে ১১ কোটি ১০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে ভারতে ইস্পাতের ব্যবহার কমে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টনে নেমে গিয়েছিল।

প্রাক্কলিত হিসাব অনুসারে, ২০২১ সালে দেশটিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ টন ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে। এর মানে হলো, গত বছর দেশটিতে ইস্পাতের ব্যবহার বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

এ ব্যাপারে ভারতের ইস্পাতমন্ত্রী রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশীয় ইস্পাতের চাহিদা ১৬ কোটি টনে দাঁড়াতে পারে। ইস্পাতের চাহিদা, উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে ভারত সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন