রাজবাড়ীর মাটি আখ চাষে উপযোগি হওয়ায় এ জেলায় ব্যাপক আখ চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে গত বছরের বন্যা ও চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে লোকসানের মুখে পড়ে চাষিরা।
বাজারে আখ বিক্রির পাশাপাশি রস থেকে চাষিরা তৈরি করেন গুড়। বাজারে এ গুড়ের চাহিদা বাড়লে ও নায্যদর পেলে চাষিদের মুখে হাঁসি ফুটবে। আর যদি চাষিরা ভালো দর না পায় তবে লোকসান গুণতে হবে তাদের।
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই আখ মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন চাষিরা। আখ চাষে লোকসান নয়, লাভই বেশি থাকে। তাই পাংশা উপজেলার চরাঞ্চলের চাষিরা অধিক আগ্রহে আখ চাষ করে থাকেন।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় চলতিবছর ৫৫০ হেক্টর জমিতে রং বিলাস, তলা বিলাস, পঞ্চান্ন, হুলিয়াসহ ৫ থেকে ৭ জাতের আখ চাষ হয়েছে। পৌষ-মাঘ মাসে আখ থেকে ভালো রস পাওয়া যায়। তাই এ সময় গুড় উৎপাদন ভালো হয়।
আখ চাষি মো. লতিফ মোল্লা বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে আমাদের চরের জমি অধিকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে আমাদের আবাদি জমে কমে গেছে। পাশাপাশি গত বছরের বন্যায় চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাষিরা যেহেতেু মেশিনে আখ মাড়াই করি তাই তেলের দর বৃদ্ধি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকের হাজিরা বৃদ্ধি পয়েছে। এতে আমাদের লোকসান বাড়বে।
পাংশা হাবাসপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের আখ চাষি তালেব মোল্লা বলেন, গুড়ের বর্তমান বাজারদর ২ হাজার ২শত টাকা মণ হাওয়ায় লাভ হচ্ছে না আমাদের। মণপ্রতি গুড়ের দর তিন হাজার টাকা হলে হয়তো আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারতাম।
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জানান, অন্যান্য বছর কৃষক প্রতি শতাংশে দুই থেকে আড়াই মণ গুড় ঘরে তুলতো। কিন্তু এবার বন্যার কারণে আখের ফলন ভালো হয়নি। এতে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে আমাদের কাছে কৃষকরা যখনই যেকোনো পরামর্শের জন্য এসেছে আমরা তাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছি।
আনন্দবাজার/শহক