প্রায় দুই মাস ধরেই দেশের পেঁয়াজ বাজারে অস্থিতিশীল আবস্থা। সাম্প্রতিক এ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় বেড়েছে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম। সর্বশেষ ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এ মসলা পণ্যটি। তবে দেশের কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি দাম বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের এই সংকট কাটাতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নেওয়া হয়েছে বহু উদ্যোগ। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। দ্রুত সময়ে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে পেঁয়াজের দাম। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ২৭০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে নেমে আসে পণ্যটির দাম।
তবে সপ্তাহ যেতে না যেতে আবারও তা বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। বেশ কয়েক দিন ধরে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকার ঘরে ওঠা-নামা করছে পেঁয়াজের দাম। সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের নানা ঘোষণার কোনো সুফলই দেখছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা টিটু আহমেদ জানায়, আমদানি না থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম বেশি। এর আগে ভারতের পেঁয়াজ সরবরাহ বেশি ছিল তাই দাম কম ছিলে, এখন আর সেটা নেই। তাছাড়াও বিমানে আসা পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে আমদানি বেশি হলে পেঁয়াজের দাম কমবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এই মসলা পণ্যেটির দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকজন। বাজার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরাও। যার জন্য চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, কারওয়ানবাজার, কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এছাড়া পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।
অন্যদিকে আমদানি করা বিভিন্ন বার্মিজ পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, চীনা পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
আনন্দবাজার/এম.কে