আইভীর নৌকায় ভোট ১৬১২৭৩, তৈমূরের হাতি ৯২১৭১
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ নিয়ে টানা তিন বার মেয়র নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন তিনি। নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। এছাড়া নাসিকে কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় নাসিক নির্বাচন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ হওয়ায় দ্রুতই আসতে শুরু করে ভোটের ফলাফল। রাত ৮টার মধ্যে ১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট ভোট পেয়ে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। যেখানে তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। অর্থাৎ আইভী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূরের চেয়ে ৬৯ হাজার ১০২ ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করেন আইভী।
এর আগে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী বলেছিলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জিতবই।’ অন্যদিকে নির্বাচনে দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না হলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। এছাড়া শেষ মুহূর্তে ভোট দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নৌকার জয় হবে।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারয়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আইভী মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন। ২৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী সিটি করপোরেশন মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পুণরায় নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেন।
আনন্দবাজার/শহক