দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান দেশগুলোতে ২৩ শতাংশ শেয়ার নিয়ে পুনরায় এশিয়ায় শীর্ষস্থান দখল করেছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির ফোরথট পিআর, এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি আসিফুল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
কাউন্টার পয়েন্টের গ্লোবাল স্মার্টফোন চ্যানেল শেয়ার ট্র্যাকার অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্মার্টফোন শিপমেন্ট বছর প্রতি ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের শেষের দিকে বাজার পুনরায় চালুর সাথ সাথে, ভিয়েতনামে উৎপাদন কারখানা থেকে অংশীজনদের কাছে দ্রুততার সাথে পণ্য পৌঁছানোর মাধ্যমে শিপমেন্ট বাড়াতে সক্ষম হয় স্যামসাং। যা প্রতিষ্ঠানটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর স্মার্টফোন বাজারে পুনরায় শীর্ষস্থান দখল করতে সহায়তা করেছে।
ক্রেতাদের কাছ থেকে অভাবনীয় সাড়া পায় গ্যালাক্সি এস ২১ রেঞ্জ ও ফ্লিপ ৩ মডেলের পাশাপাশি, স্যামসাং এ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো। বিভিন্ন সংকট থাকা সত্ত্বেও অপো (১৯ শতাংশ শেয়ার) ও ভিভো (১৬ শতাংশ শেয়ার) নিজেদের শিপমেন্ট বজায় রাখার চেষ্টা করে। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওইএম (অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার)। এর মধ্যে রয়েছে শাওমি। বাজারে আধিপত্য নিয়ে যখন স্যামসাং আর চীনের নামকরা ব্র্যান্ডগুলোর মাঝে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে, তখন শীর্ষ ওইএমগুলো এসব দেশের লং-টেইল ব্র্যান্ডগুলো থেকেও শেয়ার অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
তবে ওইএম এবং টেলিকম অপারেটররা বাজারগুলোতে পণ্য এবং প্রচারণার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতাদের ক্রয়ের আগ্রহ চাকরির বাজার, নিষ্পত্তিযোগ্য আয়, শহরে অভিবাসন এবং পুনরায় পর্যটনের কার্যক্রম চালুর মতো সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর নির্ভর করবে। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। যেসব ক্রেতা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন এবং কম কেনাকাটা করেছেন তারা বিভিন্ন চ্যানেলের অফারের ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে কেনাকাটা শুরু করবেন।
উল্লেখ্য, মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনগুলোতে ফ্ল্যাগশিপ ফিচার ও চলমান ডিজিটাল রূপান্তর স্মার্টফোনকে ক্রমশই একটি অপরিহার্য পণ্যে পরিণত করছে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি