বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে তুরস্ক বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া তারা কৃষি, শিল্প, এসএমইতেও বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) তুরস্কের আঙ্কারায় তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত নুরী এরসয় এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালের পর এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তার আমন্ত্রণে তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফরের আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করবেন। পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কক্সবাজার সফর করবেন এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাৎের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে সুন্দর ও শান্তিময় করাই আমাদের দায়িত্ব। তুরস্ক শিল্প সমৃদ্ধ একটি দেশ, ওইসিডি, জি ২০’র মতো সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। আর আমরা শিল্প সমৃদ্ধ হওয়ার পথে হাঁটছি, জি ২০’র সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং এ বছর ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচক অনুসারে, দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।’
তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী মেহমেত নুরী এরসয় বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক তারকা। তুরস্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। যদিও দুদেশের বাণিজ্য পরিসর ততটা ভাল নয়। তবে যাতে করে বাণিজ্য পরিসর আরো বৃদ্ধি করা যায় সেজন্যই আমরা কাজ করে যাব।’
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সাহায্য সংশ্লিষ্ট যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং তুরস্কের পক্ষে মেহমেত নুরী এরসয় ইশতেহারে স্বাক্ষর করেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস