মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই প্রাথমিক বক্তব্য জানিয়েছেন দুই নেতা। দুইজনের বক্ত্যবেই সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে। তারপর একান্ত আলোচনায় ঢুকে পড়েন তারা। হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, দীর্ঘ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এদিনের বৈঠকে তাইওয়ান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
করোনাকালে চীন-আমেরিকা সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে সরব হন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনাভাইরাসের জন্যেও চীনকে দায়ী করেন তিনি। এরপর জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে চীন যোগ না দেওয়ায় তা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন বাইডেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকের শুরুতেই দুই প্রেসিডেন্ট প্রাথমিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরে তিনি খুশি। বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন শি জিনপিংও চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দুইজন একসঙ্গে করেছেন সফরও। তাই দুইজনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক আছে।
শি জিনপিং-এর বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মোকাবিলার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এবং তার জন্য অ্যামেরিকাকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জো বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ থাকার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। এবং এর জন্য কমনসেন্স গার্ডরেল তৈরি করা প্রয়োজন। সংকীর্ণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠার মানসিকতাই হলো কমনসেন্স গার্ডরেল।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে এদিনের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমার সম্ভাবনাও দেখছেন না তারা। কিন্তু সংঘাত কমানোর একটি রাস্তা খুলল বলে মনে করছেন তারা। এদিনের বৈঠকেও বাইডেন মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখবেন না।
এদিকে সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলির সাথে চীনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে চীন। একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। যা নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। মনে করা হচ্ছে, এদিনের বৈঠকে তাইওয়ান নিয়ে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি