ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশু বিক্রয়ে অনলাইনে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে জেসি অ্যাগ্রো!

কুরবানির ঈদ উপলক্ষে গরু-মহিষ কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ক্রেতা আসছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে জেসি অ্যাগ্রোতে। বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের গরু-মহিষ। অনেকে নিয়েও যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অনলাইনে অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা এসব পশু সরাসরি লাইভ দেখে ওজনের মাধ্যমে ক্রয়ে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন ক্রেতারা। এ খামারে কুরবানির জন্য প্রায় ১৮০ টি গরু-মহিষ বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ৯’শ কেজি ওজনে ষাঁড়ের নাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। যার দাম ১০ লাখ টাকা বিক্রির কথা চলছে। এছাড়া ইতোমধ্যে কুরবানি খামার থেকে পছন্দের ১২৫টি গরু-মহিষ ক্রয় করেছেন ক্রেতারা। যা ১১ জুলাই থেকে ডেলিভারি শুরু হবে। প্রথম ডেলিভারি দেওয়া হবে চট্টগ্রাম।

জানা যায়, করোনার শুরু সময় ২০ টি গরু দিয়ে শুরু করা জেসি অ্যাগ্রো খামারটিতে বর্তমানে ২৮০ টির মতো উন্নত জাতের গরু-মহিষ আছে। এ থেকে ১৮০ টি পশুকে কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে গড়ে প্রতিটি গরু ছয় লাখে বিক্রির হিসাবে ছয় কোটি টাকার বেশি আয় হবে। এর থেকে প্রায় কোটি টাকার মুনাফার হবে বলে আশা করছেন খামার সংশি­ষ্টরা।

খামারে পশুর খাবারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা মো. সাইদ আল সাহাবের জানান, ৩৫ জন শ্রমিক রয়েছেন। ১৫ জন শ্রমিক খামারে দিনরাত কাজ করেন। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মী রয়েছেন। তিনি নিজেও এ কাজে প্রশিক্ষিত।

খামারের উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোটার্র্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এরশাদ উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার গরু পালনের ওপর দুর্বলতা ছিল। সে জায়গা থেকেই আজকের এই জেসি অ্যাগ্রো। বিভিন্ন ক্ষতিকর ওষুধ ও স্টেরয়েডের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ ভুল প্রমাণ করতেই পশুখাদ্য নিজে উৎপাদন করছি। কুঁড়া, খড়, ভুসি, ভুট্টা, চিড়া, খইল, গুড় এবং ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত কৃমিনাশক, জিঙ্ক, লিভার টনিক ও বিভিন্ন রোগের ওষুধও দিচ্ছি।

এরশাদ উদ্দিন আরও বলেন, প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে লোকজন খামারে এসে গরু দেখছেন। অনেকে আগেভাগে বুকিং দিয়েও রাখছেন। ফোনে বা অনলাইনেও কথা হচ্ছে অনেকের সঙ্গে। ফলে হাট-বাজারে পশু বেচার জন্য কোনও ঝুঁকি নিতে হবে না। ভেজালমুক্ত মোটা-তাজা গরু কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সে লক্ষ্যেই জেসি অ্যাগ্রো কাজ করছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম অর্গানিক পদ্ধতিতে পশু পালন এই খামারের বিষয়ে বলেন, খামারটি পরিপাটিভাবে গুছানো। অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরু-মহিষের মাংস মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। ফলে দিন দিন এসব গরু-মহিষের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আনন্দবাজার/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন