দেহের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায় থেকে অতিরিক্ত বেড়ে গেলেই সাধারণত ‘হিটস্ট্রোক’ হয়ে থাকে। বেশি সময় ধরে উচ্চ তাপমাত্রায় থাকলে ‘হিটস্ট্রোক’ হতে পারে। আর এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, বৃক্ক ও পেশির ক্ষতি হতে পারে।
মায়োক্লিনিক ডটঅর্গ- এর তথ্য অনুসারে ‘হিটস্ট্রোকের’ বেশ কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। যেমন-দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি (এটা জ্বরের মতো অনুভূত হয় না, বরং মনে হয় দেহের ভেতর থেকে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হচ্ছে), মানসিক অস্বস্তি, কথা বলায় সমস্যা, দ্বিধা, অতিরিক্ত ঘাম, বিতৃষ্ণা ও বমিভাব, ত্বকে রক্তিম আভা, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এবং মাথাব্যথা।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত রোগীকে ছায়ার মধ্যে আশ্রয় নিতে হবে। এবং গায়ের অতিরিক্ত কাপড় খুলে ফেলে রোগীকে শীতল করার ব্যবস্থা করতে হবে। শরীর পানি দিয়ে ভেজানো, ঠাণ্ডা পানিতে গোছল করানো বা গোছলের ব্যবস্থা করা না গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করা, ভেজা তোয়ালে দিয়ে মাথা, গলা, বাহুমূলে ও শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে জড়িয়ে শরীর ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানি শূন্যতা থেকে ‘হিটস্ট্রোক’ হতে পারে। পানির অভাবে শরীর নিস্তেজ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। গরমের সময় শরীর আর্দ্র রাখতে বিভিন্ন রকম পানীয় বেশ কার্যকর।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এরকম কয়েকটি পানীয় কথা নিচে বলা হলো যা আমাদের দেশে প্রচলিত।
মাঠা
মাঠা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। এতে আছে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন ও ভিটামিন যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে।
পেয়াঁজের রস
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, পেঁয়াজের রস মধু দিয়ে পান করা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে ও গরমের কারণে হওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ছাতুর পানীয়
গরমে ছাতুর শরবত খাওয়া উপকারী। এটা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে ও হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও, শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করতে ছাতু বেশ কার্যকার।
তেঁতুলের শরবত
তেঁতুল শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবারহ করে ও শরীরের পানির স্বল্পতা কমায়। পানিতে কিছুটা তেঁতুল ফুটিয়ে নিন। খাওয়ার আগে এর সঙ্গে গুড় যোগ করে নিতে পারেন।
আমের শরবত
কাঁচা আমের শরবত শরীর সতেজ ও ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কাঁচা আম পুষ্টিকর। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। পেটের সমস্যা ও ডায়ারিয়া দূর করতে কাঁচা আমের শরবত উপকারী।
আনন্দবাজার/টি এস পি