ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবাবগঞ্জে চাষ হচ্ছে ত্বীনফল

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এখন সৌদি আরবের জনপ্রিয় ত্বীনফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। পবিত্র কোরআনে ত্বীনফলের তাৎপর্য নিয়ে বর্ণিত আছে।

স্বাদে আর পুষ্টি-গুণে সমৃদ্ধ সেই ত্বীনফলের বানিজ্যিক চাষ শুরু করেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের উদ্যোক্তা মতিউল মান্নান। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। করোনাকালীন সময়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও বসে থাকেননি তিনি। ছোট বোন মনিরা আখতারের পরামর্শে গাজীপুর থেকে চারাগাছ সংগ্রহ করে ত্বীনফলের বাগান করেন তিনি।

তিনি জানান, প্রতিটি চারাগাছ ৫২০ টাকা করে কিনে ১৩২ শতাংশ জমিতে ৯০০ চারাগাছ লাগান তিনি। বর্তমানে তার বিস্তৃর্ণ বাগানে শোভা পাচ্ছে আরব দেশের জনপ্রিয় এই ত্বীনফল।

তিনি আরও জানান, স্বাদে সুমিষ্ট, অত্যধিক সুস্বাদু এবং রসালো এই ত্বীনফল। চারাগাছ লাগানোর সময় থেকে ৩ মাসেই ফল ধরা শুরু করেছে। যার একেকটির ওজন হবে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত। আর ফল ধরে ৭০-৮০টির মত। পবিত্র কোরআনের আতত্বীন সূরায় বর্নিত আছে ত্বীনফল ডায়াবেটিক, হাঁপানি, ক্যান্সার সহ নানা রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জ্যাম, জেলি, পুডিন ও আচারেও ব্যবহার করা হয়।

ত্বীনফলে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার, আইরন। ত্বীনফলের একেকটি গাছ ৩০-৩৫ বছর পর্যন্ত একটানা ফল দেয়। মরুভূমির গরম আবহাওয়ায় চাষ হলেও বাংলাদেশে আবহাওয়াতেও দেখা দিয়েছে এর উজ্জল সম্ভাবনা। আর কয়েক দিনের মধ্যে তিনি বাগান থেকে ত্বীনফল বানিজ্যিক ভাবে বিক্রি শুরু করবে। ত্বীনফল প্রতি কেজি ১০০০- ১২০০ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা মতিউল মান্নান।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভেষজ গুণসমৃদ্ধ এই ত্বীনফল বহু রোগ-প্রতিরোধে ব্যবহার হয়ে থাকে। বানিজ্যিক উৎপাদনের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশেও রফতানির সম্ভাবনা।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন