মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন দেশটির সাধারণ সরকারি কর্মচারী ও কূটনীতিকরা। এর সঙ্গে আরও একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংকে ১০০ কোটি ডলার জমা রেখেছিল। জান্তা ক্ষমতায় বসেই সে টাকা তোলার চেষ্টা করলে তা আটকে দেয় ওয়াশিংটন। শুক্রবার (৫ মার্চ) এসব খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেন্ট্রাল ব্যাংকের নামে গত ৪ ফেব্রুয়ারি লেনদেনটি করার চেষ্টা হয়। তখন তা ফেডারেল সেফগার্ডস দ্বারা আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক নির্বাহী আদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিয়ানমারের এই ১০০ কোটি ডলার আটকে দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তাদের। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন সকলেই মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চাপের মুখে পড়ে জাতিসংঘে সেনা শাসকদের নিয়োগ করা প্রতিনিধি পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় ফিরে এসেছেন আগের প্রতিনিধি কিয়ো মো টুন। এর আগে টুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সব সদস্য দেশের কাছে আবেদন করেছিলেন, সেনা অভ্যুত্থানের আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য যেন তারা চেষ্টা করেন। কূটনীতিকদের বিদ্রোহের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করতে পুলিশ ভয়ঙ্কর শক্তি প্রয়োগ করেছে। ২৯ জন সাংবাদিকসহ এক হাজার ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে, তা জাতীয় লজ্জা। কিন্তু তিনি মনে করেন, বিদেশ থেকে যে চাপ আসছে, তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছে না।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিয়ানমার দূতাবাস থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে বিক্ষোভের মোকাবিলায় যেন সংযম দেখানো হয়। পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুরও নিন্দা করা হয়েছে। দূতাবাসের একজন কর্মী পদত্যাগ করেছেন। তিনজন কর্মী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, তারা বিক্ষোভে যোগ দিতে চান।
আনন্দবাজার/শহক