সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই। কিন্ত বাজারে ভালো দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে এবারও লোকসান গুণতে হবে কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ২০০ হেক্টর। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ইঁদুর ও পোকার আক্রমণে কিছু কিছু এলাকায় ধানের উৎপাদন কমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১২ হাজার ৩৭৫ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৬৬২ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে ২৮৭ হেক্টর। এর মধ্যে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে।
কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক সুলতান আলী জানান, প্রতি বিঘা জমির ধান চাষে বীজ, সার, সেচ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ মিলে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। সেই ধান শুকিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। ফলে অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস