খুলনার ডুমুরিয়ায় শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মালতিয়া আড়তে প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে চার টাকা কেজি দরে।
আড়তে এসে ফুলকপির দাম দেখে হতাশ হয়ে পড়েন ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের চাষি আব্দুল মজিদের।মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন একই উপজেলার আরশনগর গ্রামের সঞ্জয় দেবনাথ। তারা উভয়ই ফুলকপি চাষি।
মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর বিভিন্ন সবজিতে লোকসানের মুখে পড়েন চাষীরা। মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ, পেঁপে, লাউ, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন ফসলের দামে বিপর্যয় দেখা দেয়। সেসময় শষা প্রতি কেজি বিক্রি করেন ৩-৪ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ ও করল্লা পানির দামে বিক্রি হয়। এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা।
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এক ইঞ্চিও জমিও পতিত রাখা যাবে না।’ চাষে উৎসাহিত হতে খুলনার এক হাজার তিনশ কৃষককে প্রণোদনাও দেওয়া হয়।
তবে এর পরও খুলনা জেলার ৮০ হাজার কৃষক গ্রীষ্ম মৌসুমে সবজি বিক্রি করতে না পেরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আশা ও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সমিতিতে সুদ ও ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে তাদের। আর এবার শীতের সবজির এমন দামে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস