যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনের পর এবার করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। গতকাল বুধবার এই অনুমোদনের কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘হেলথ কানাডা’।
বিবিসির প্রতিবেদনে ভ্যাকসিনের এই অনুমোদনকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে ‘স্বাস্থ্য কানাডা’।
কানাডা নাগরিকদের জন্য সর্বমোট ২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করবে দেশটির সরকার। এর আগে গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, চলতি মাসে ফাইজারের থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ডোজ নেবে কানাডা। যার প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে কানাডা পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ফাইজার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। দেশটির সরকার ভ্যাকসিন বিতরণের সুবিধার্থে সারাদেশে ১৪টি কেন্দ্র নির্দিষ্ট করেছে।
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা নাগরিকদের মধ্যে শিগগিরই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে।
শারীরিকভাবে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা ভ্যাকসিন প্রয়োগের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন। এরপরে রয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রাপ্তবয়স্করা, রিটায়ারমেন্ট হোমসের বাসিন্দা এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীরা।
আনন্দবাজার/টি এস পি