ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে পলিন কাউসারের ‘দ্বিতীয় আয়না’

আবারও ছোট পর্দার জন্য নাটক নির্মাণ করেছেন কবি ও গীতিকার পলিন কাউসার। সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘দ্বিতীয় আয়না’ নামের নাটকটির গল্প। আগামী ১১ই ডিসেম্বর বাংলা টিভিতে সম্প্রচারিত হবে নাটকটি।

এক তরুণীর ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ওঠার পেছনে সোস্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক অবস্থাকে তুলে ধরেছেন পরিচালক। শারীরিক আঘাতের মতো মানসিক আঘাতেরও যে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব সেটিও খুব বাস্তবিকভাবে তুলে ধরেছেন। জটিল একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত এক তরুণীর সাথে ঘটনাচক্রে মেন্টাল হেলথ্ কেয়ার নিয়ে কাজ করা এক যুবকের সম্পর্ক ও তার নানা টানাপোড়েন নিয়ে এগিয়েছে এর কাহিনী।

‘দ্বিতীয় আয়না’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে পরিচালক পলিন কাউসারের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছবিঘর থেকে। নাটকটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, শ্যামল মাওলা, শম্পা রেজাসহ আরও অনেকে।

নাটকটির ব্যাপারে পরিচালক পলিন কাউসার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোর ভূমিকায় খুব সুক্ষ্মভাবে হলেও ভূমিকম্প হচ্ছে কারো না কারো জীবনে, যা নাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের সহজাত দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাভাবনার স্তর। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আসলে গল্পটি লেখা।

তিনি আরও বলেন, এই কন্টেন্ট বা ফিকশন দেখে আমাদের তরুণ প্রজন্ম যদি সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকে সীমিত ও স্থিতিশীল করতে পারে তবেই আমার এই চেষ্টা সার্থক হবে।

এই নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে সানজিদা প্রীতি বলেন, নারী ও পুরুষের দ্বৈত ব্যক্তিত্বের মাঝে আটকে থাকা মেয়েটির চরিত্র পুরোপুরি প্রেজেন্ট করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তারপরও আমি মনে করি গল্পটা বেশ যত্ন করে পলিন ভাই বানিয়েছেন, বাকিটা দর্শকের উপর। এর চিত্রনাট্য ও চরিত্র দুটোই বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিলো বলেই কাজটা আনন্দের সাথে করেছি।

আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করা শ্যামল মাওলা বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও তার ফাস্ট এইড নিয়ে এমন কাজ খুব একটা হয় না। এখানে গতানুগতিক চিন্তার অনেকটা বাইরে এসে পরিচালক ভেবেছেন, সব মিলিয়ে সবটা জার্নি বেশ এক্সাইটেড ছিলো। আশা করছি দর্শক ভিন্ন আঙ্গিকের কিছু উপভোগ করতে পারবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস 

সংবাদটি শেয়ার করুন