দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় হুমকি চীন, বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জন র্যাটক্লিফ। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এক নিবন্ধে এ কথা লিখেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চীনা পণ্যে শুল্কারোপ ও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে মেধাস্বত্ব সম্পদ চুরির অভিযোগ এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুরু থেকেই করোনা মহামারীর জন্য চীনকে দায়ী করে আসছেন ট্রাম্প। এছাড়া উভয় দেশের সম্পর্কে হংকং, উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন ও চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
র্যাটক্লিফের লেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে-এর চীনবিরোধী কিছু মন্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে।
চীন জাতীয় নিরাপত্তার এক নম্বর হুমকি শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে র্যাটক্লিফ লিখেছেন, বিশ্ব পুনর্নির্মাণ ও আধিপত্য বিস্তারে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করাটা আমাদের প্রজন্মের জন্য চ্যালেঞ্জ।
র্যাটক্লিফ লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। তারা রাশিয়ার স্থান নিয়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বাকি বিশ্বে অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রযুক্তিগতভাবে কর্তৃত্ব ফলাতে চায়।
র্যাটক্লিফ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয় বিষয়গুলো চুরি করে চীন তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। পরে তারা বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা দখল করছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি