মানিকগঞ্জে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু সবজির দাম কমলেও বৃদ্ধি পেয়েছে মরিচের মূল্য। ভোরের আলো ফোটার আগেই বেচাকেনায় ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাডবাউর বৃহৎ সবজির আড়ত।
তবে ওই আড়তে তরজাতা ও ফরমালিনমুক্ত জেলার কৃষকদের উৎপাদিত ফুলকপি, ধনেপাতা, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউ, শিম,আগাম মুড়ি কাটা পেঁয়াজ, মুলা, করলার সরবরাহ বেশি। কিছুদিন আগেও সবজির ভালো দাম থাকলেও বর্তমানে মূল্য না পেয়ে লোকসানের কথা বলছেন তারা।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মুলা ৫-৬ টাকা, ফুলকপি ১৬-১৮ টাকা, বাঁধাকপি ১৮-২০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন ১৬-১৮ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, শিম ১৭-১৮ টাকা, আগাম মুড়ি কাটা পেঁয়াজ পাতাসহ ৩০-৩৫ টাকা, লাউ প্রতিটি ১২-১৫ টাকা, করলা ১৬-২০ টাকা, আদা ৫৫-৫৬ টাকা, রসুন ৯২-৯৪ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫০-৫২ টাকা, মরিচ দেশি ৮৫ টাকা, আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিতাই নামের অপর এক কৃষক জানান, শিম চাষ করেছেন তিনি। এতে কয়েক দিন ভালো মূল্য পেলেও বর্তমানে দাম বেশি। ১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেছেন। যা তার চাষাবাদ ও ভাড়া দিয়ে আড়তে আনে খবর তুলতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান।
মানিকগঞ্জের পাইকার আরিফ জানান, এ আড়ত থেকে তরতাজা সবজি কিনে ঢাকা শ্যামবাজার এবং কাওরান বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হন তিনি।
আড়তটিতে বৈদ্যুতিক বাতির সংকটসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাইকার, আড়তদার এবং কৃষকদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আড়ত কমিটি সভাপতি আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়তটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভালো। কিন্তু আজ মরিচের মূল্য ছাড়া সকল সবজির দাম নিম্নমুখী।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে