করোনায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষাব্যবস্থা। চলতি বছর করোনার প্রভাব বাড়তে থাকলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের সকোল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও খুলেনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে অল্প পরিসরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নিলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ঝুঁকি এড়াতে সিদ্ধান্ত হয়েছে পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফল সমন্বয়ের জন্য।
ফলে পরীক্ষা সমস্যার সমাধানে অনলাইনে যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে মেশিন লার্নিং সফটওয়্যার এনেছে ডাবলিনভিত্তিক একটি ফার্ম। যেখানে একসাথে অংশগ্রহণ করতে পারবে ১ হাজার পরীক্ষার্থী।
তবে টার্মিনালফোর অ্যান্ড বেটার এক্সামিনেশনের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারটি শুধু পরীক্ষায় নয়, এটি বিশ্লেষণ করবে পরীক্ষার্থীয় যাতে কেউ নকল করতে না পারে। সেই সাথে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে শনাক্ত করবে পরীক্ষার্থীর পরীবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষা দিতে বসেছে কিনা।
পরীক্ষা দিতে প্রয়োজন হবে ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম এবং ইন্টারনেট সংযোগ। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকতে না পারে সেটারও ব্যবস্থা থাকবে এই লার্নিং মেশিন এ। এমনকি পরীক্ষা খাতায় নম্বরও দিয়ে দেবে এ সফটওয়্যারটি।
এরইমধ্যে ৫টি দেশের সরকার এ সফটওয়্যার ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন টার্মিনালফোর অ্যান্ড বেটার এক্সামিনেশনের সিইও পিয়েরো টিনটোরি। তিনি জানান, স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠান তাদের সফটওয়্যার নিতে যোগাযোগ করছে।
অনেক কোম্পানিই মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি হাতে পেতে ব্যাপক খুশি। কারণ এটি আমাদের কাজকে সহজ করে দেবে বলে জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মাইকেল অসবর্ন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে