সরবরাহ কমায় দেশে বেড়েছে ইলেকট্রিনিক পণ্যের দাম। করোনায় হোম অফিস এবং ক্লাসের কারণে ব্যাপকহারে বেড়েছে মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা। সে তুলনায় বাড়েনি এসব পণ্যের সরবরাহ।
করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের জন্য অনেককেই কিনতে হচ্ছে ল্যাপটপ। বাজার ঘুরে অনেককেই দেখা গেছে, যারা অনলাইন ক্লাস, হোম অফিস বা কর্মস্থলে ব্যবহারের জন্য কিনছেন ল্যাপটপ, হেডফোন, ওয়েবক্যামের মতো প্রযুক্তিপণ্য।
ল্যাপটপ কিনতে আসা একজন অভিভাবক জানান, অনলাইনে ক্লাস করতে গত মাসে মেয়ের জন্য একটা ল্যাপটপ কিনেছেন তিনি। এবার বাজারে এসেছেন ছেলের জন্য আরেকটা ল্যাপটপ কিনতে।
আরেকজন অভিভাবক জানান, তিনি যে মানের ল্যাপটপ খুঁজছেন, আগের তুলনায় সেগুলোর দাম বর্তমানে ৪ থেকে ৫ হাজার বেশি পড়ছে।
বাংলাদেশে সিংহভাগ প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি হয় চীন থেকে। করোনার কারণে সে দেশের উৎপাদন ও রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর এ কারণেই বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
করোনার কারণে সুরক্ষা সতর্কতা মেনে শোরুম খোলা রাখার পাশাপাশি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অনলাইন বিক্রিতে জোর দিয়ে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলে জানান বাজারজাতকারীরা।
সিরডাপ’র গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, লকডাউনের কারণে অর্থনীতিতে যে চাপ ছিল সেই চাপটা অনেক কমে এসেছে। মানুষের কর্মচাঞ্চল্য দেখলেই তা বোঝা যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ না লাগলে বাজার পরিস্থিতি খুব শিগগির স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস