ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ বীজেই কোটিপতি সাহিদা

পেঁয়াজের বীজ চাষ করে উদাহরণ স্থাপন করেছেন ফরিদপুরের সাহিদা বেগম। অনেকটা শখের বশেই এই চাষ শুরু করে আজ হয়েছেন আত্মনির্ভরশীল। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই চাষ করছেন। এই বছর তিনি প্রায় ২০০ মণ পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করেছেন। পেঁয়াজ মৌসুমে বীজ প্রতি মণ ২ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন তিনি।

সাহিদা বলেন, এ বছর ইতোমধ্যেই বীজ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। বাছাই পর্ব শেষ হলেই পেঁয়াজের বাল্ব জমিতে রোপন করতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই কাজে মোট ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। ফলন আসবে আগামী এপ্রিল-মে মাসে।

সাহিদা ২০০৪ সালে প্রথমে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ শুরু করেন। তখন ফলন পেয়েছেন মাত্র ২ মণ। দাম পেয়েছিলেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা। এর পরের বছর পান ১৩ মণ। ক্রমাগত বাড়তে থাকে উৎপাদন। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। গত বছর ১৫ একর আর চলতি বছর ৩০ একরে চাষাবাদ করেছেন, বীজ পেয়েছেন ২০০ মণ।

তিনি জানান, আমাদের বীজ গুণে মানে ভালো। এবছর আরও ৫০০ মণ থাকলেও বিক্রি করতে পারতাম। এতো চাহিদা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করলেও অনেক সময় চাহিদা পূরণ করতে পারেন না তিনি। স্থানীয় কৃষকসহ পুরো বাংলাদেশে বীজ সরবরাহ করে থাকেন সাহিদা।

সাহিদার সাথে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের কাজে সহায়তা করেন তার স্বামী বক্তার উদ্দিন খান। যিনি পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। স্বামী ছাড়াও পরিবারে দুই মেয়ে নিয়ে চার জনের সংসার সাহিদার। তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন পেয়াজ বীজের কারখানা। এখান থেকেই বীজ মোড়কজাত করা এবং ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। কারখানাটি ক্রেতাদের কাছে খান সিডস নামে পরিচিত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর পেঁয়াজের বীজের চাহিদা বেশি থাকার কারণে দামও ছিল বেশ চড়া।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে সাহিদা বেগম প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বীজ বিক্রি করেছেন ইতোমধ্যেই।

আনন্দবাজার/এহসান

সংবাদটি শেয়ার করুন