কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্য থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও ঈদের কারণে এ সময় আহরিত রাজস্বের পরিমাণ আশানুরূপ হয়েছে ।
স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশন সূত্র বলেন, এই অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার থেকে ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার টাকার পণ্য আমদানি করা হয়েছে। অন্যদিকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার পণ্য মিয়ানমারে রফতানি করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে ২ হাজার ৮৯১টি গরু, ৩ হাজার ৪৮০টি মহিষ আমদানি করে ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
এর পূর্বে আগস্টে ৪৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার পণ্য আমদানি হয়ছে মিয়ানমার থেকে। অন্যদিকে দেশটিতে রফতানি করা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার পণ্য। এতে ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৯১ হাজার টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ৭ হাজার ২৩টি গরু, ২ হাজার ৭৪৮টি মহিষ আমদানি করে ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়।
জুলাই মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয় ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার। এর বিপরীতে ১ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্য রফতানি হয়। এতে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে ১০ হাজার ৯৫টি গরু ও মহিষ আমদানি করে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের এক শুল্ক কর্মকর্ত বলেন, গত জুলাই-আগস্টে অনুকূল আবহাওয়া ও কোরবানির ঈদে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় রাজস্ব আদায়ও আশানুরূপ হয়েছে। তবে রাজস্ব আদায়ে ধস দেখা দিয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায়। কিন্তু দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবেলায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আরো বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে। সবদিক মিলিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসাকে গতিশীল ও স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিয়ানমার থেকে শতভাগ পণ্য আমদানি হলেও বাংলাদেশ থেকে রফতানির পরিমাণ খুবই কম। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
আনন্দবাজার /ফাহির
