বর্তমানে সিনেমার নায়িকাদের আবদারে খুবই বিরক্ত হন সিনেমার পরিচালকেরা। মাঝেমধ্যেই গুটি কয়েক নায়িকা শুটিং এর পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। আর এমন অভিযোগ নির্মাতাদের মুখে অনেকবার শোনা হয়ে গেছে।
ছবিতে একজন পরিচিত চেহারার নায়িকাকে কাস্ট করা হলে অপরজন বেঁকে বসেন কাজ না করতে। শর্ত জুড়ে দেন, বেশি গানের দৃশ্যে অবশ্যই তাকে রাখতে হবে। তবে একজন নির্মাতা জানান, উঠতি নায়িকার মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যায়, কতিপয় নামের নায়িকাদের কারণে অন্যদেরও বদনাম হয়।
আবার সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলেও অনেক নির্মাতার অভিযোগ নায়িকা শুটিং এর আগের দিন বিভিন্ন বাহানা শুরু করেন। এমনকি অনেকে আবার শিডিউলও ফাঁসিয়ে দেন। শুটিঙের আগেরদিন এটা করতে হবে ওটা করতে হবে। ফলে নায়িকার উপরে খুবই বিরক্ত পরিচালকরা।
ইদানীং নালিশ কিংবা প্রযজক দ্বারা পরিচালককের নিকট অনুরোধ করার প্রবণতাও অনেক বৃদ্ধি এয়েছে। দৃশ্য বাড়াতে হবে, এন্ট্রি টাইম এই সময় না, ওই সময় বা শুরুতেই দিতে হবে। নায়কের দৃশ্য বেশি রাখা যাবে না। প্রযোজক আবার সেসব অনুরোধ নিয়ে যান পরিচালকদের কাছে।
তাই গতকাল সোমবার নির্মাতা সৈকত নাসির নায়িকাদের এমন আবদার নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।
সৈকত নাসির লিখেছেন, সম্প্রতি একটি সিনেমার জন্য দেশের নামী দামি কিছু নায়িকার সঙ্গে মিটিং করেছিল। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম তাদের প্রথম প্রশ্ন সিনেমাতে নায়িকা কয়জন? আমার কয়টা গান? আমার এন্ট্রি কত নাম্বার সিনে? এইসব কোন উত্তর দিতে আমি কখনোই প্রস্তুত থাকি না। তবে মনে প্রশ্ন জাগে পৃথিবীর সিনেমার মাপকাঠিতে আমাদের সিনেমা আসলে কোথায় আছে? এদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, আর কারণ কয়েকদিন পর এই এলিয়েন গুলারে আমরা পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে চিড়িয়া খানা অথবা মিউজিয়ামে দেখবো।
তিনি আরও লিখেন, দর্শক দেখতে চায় নতুন কিছু, গল্পের সিনেমা, ঐখানে একটা চরিত্রের এন্ট্রি বা প্রেজেন্টেশন গল্পের মাপকাঠিতে হয়। কারণ একটা চরিত্র একজন শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে হাজার বছর।
এদিকে একজন নামী নির্মাতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শাবানা ববিতাদের আমলে এসব ছিল না। তাঁরা গল্পে ঢুকে যেতেন। এছাড়া অন্য নায়িকার সাথে প্যারালাল কাজ করতেও তাদের কোনো অনীহা ছিল না। এগুলো ইদানীং শুরু হয়েছে। এমন অনেক নায়িকা রয়েছে যারা পুরো সিনেমার শুটিং করে আসছে অথচ জিজ্ঞেস করলে গল্প বলতে পারবে না। তারা ব্যস্ত শুটিং স্পট থেকে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রকাশ করতে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে