ঢাকা | বুধবার
১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে আসছে তিন লাখ মেট্রিক টন সবজি

শেরপুর গত বছর বন্যার কারণে সবজি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। চাষিরা বলেন, বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে তারা মাঠে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পালাক্রমে যোগ হবে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন সবজি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র হতে জানা গেছে, চলতি বছর রবি মৌসুমে শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীর আট হাজার ৫৬২ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে বাধাকপি ৩৬৭ হেক্টরে ১৪ হাজার ৮৬৪ মেট্রিক টন, ফুলকপি ৩৭৫ হেক্টরে নয় হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন, বেগুন চাষ করা হয়েছে, সিম এক হাজার ২৯০ হেক্টরে ১৭ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন, টমেটো ৭৮০ হেক্টরে ২১ হাজার ৮৩ মেট্রিক টন, মুলা ৫৮৫ হেক্টরে ১৩ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন, লাউ ৮৫০ হেক্টরে ২৯ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন,

এছাড়া শশা ৬১৫ হেক্টরে ১০ হাজার ৩৯৪ মেট্রিক টন, মিষ্টি কুমড়া ৪০০ হেক্টরে ১৪ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন, বরবটি ৬২ হেক্টরে ৯৫৫ মেট্রিক টন, গোল আলু ৪৯৫০ হেক্টরে এক লাখ তিন হাজার ৭০ মেট্রিক টন, গাজর ১৬১ হেক্টরে দুই হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন, ঝিঙ্গা ২৩৭ হেক্টরে তিন হাজার চার মেট্রিক টন, পুঁই শাক ৫৫ হেক্টরে ৩১০ মেট্রিক টন, পালং শাকসহ আন্যান্য ১০২ হেক্টরে দুই হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বন্যার কারণে তারা পিছিয়ে পড়লেও উৎপাদন লক্ষমাত্রা ঠিক রাখতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সহসাই তারা চিচিঙ্গা, বরবরটি, ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, শশা, করলা, শিম, বেগুনসহ প্রায় ৩১ প্রকারের শাক সবজি এবার বাজারজাত করতে পারবেন।

পাইকার মজিবর মিয়া জানান, প্রতি বছর শীতকালীন সবজি বিক্রি করে মোটামোটি ভালই লাভ হতো। কিন্তু চলতি বছর তার এক লাখ ১৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কারণে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না থাকায় এই ক্ষতির শিকার হন বলে জানান তিনি।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। সেই সাথে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। চলতি বছর বন্যার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই সবজি আবাদ বাদ দিয়ে সরিষা, ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন