খুচরা বাজারে সরকার আলুর দাম দফায় দফায় বেঁধে দেবার পরও কোনভাবেই কমছে না পণ্যটির মূল্য। বছরের শেষ সময়ে এসে আলুর দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। এখনও বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে।
এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা বেঁধে দিয়েছে। তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর টাউনহল বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, রায়ের বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়। এদিকে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সস্তায় মিলছে শীতের সবজি। তবে আলুর দাম এখনও চড়া।
বাজারে শিম ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৬৫-৭০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, বাধাঁকপি আকারভেদে প্রতি পিস ৩৫-৫০ টাকা, মরিচ কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকা, বেগুন কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সংরক্ষিত আলু কৃষকেরাই তাদের কাছে ২৭ টাকার বেশি দামে বিক্রি করছে।
এদিকে দোকানে টাঙানো তালিকায় প্রতি কেজির আলুর খুচরা দাম লেখা ৩৫ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। একজন বিক্রেতা বলেন, কি জানি কে লেখছে মূল্য তালিকা। আমার কেনা ৩৮ টাকা দরে, আমি ৪৫ টাকা বিক্রি করছি।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। অন্যদিকে, আলু উৎপাদনের শীর্ষ মুন্সীগঞ্জের বাজারেও পাইকারি পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪১ টাকা কেজি দরে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের প্রথম দিকে মুন্সীগঞ্জের বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এরপর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, পাইকারি ২৮ টাকা ও হিমাগারে ২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
আনন্দবাজার/ইউএসএস