মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে ক্ষমতা হস্তান্তর। নিবার্চনের ফলাফল প্রকাশের ৪ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পরাজয় স্বীকার করে নেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে, নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
২০০০ সালে হোয়াইট হাউস কার দখলে যাবে সেসময়ে সেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেবারও আল গোর পরাজয় মেনে নিয়েছিলেন। এরপর বুশ পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলেন ক্লিনটনের কাছে।
২০১৬ সালেও নির্বাচনের পরের দিন সকালে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পরাজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টা দেরীতে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে দাওয়াত করেছিলেন ট্রাম্পকে।
কিন্তু এর মধ্যে ব্যতিক্রম ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতে যাচ্ছেন। যদিও গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, তিনি মনে করছেন না, এর জবাবে তাকেও কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পরাজয় স্বীকার করে নিতে কোনভাবেই রাজী নন। তিনি জানান, আমি মনে করি, ২য় বারের মতো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটি সহজ হবে।
তবে গতকাল মঙ্গলবারও ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আদালতে যায়নি ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবির। ধারণা করা হচ্ছে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তারা কিছু সময় নিচ্ছেন। ফলে কি হবে, এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা যেন কাটছে না।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে