অস্থির রাঙামাটি জেলার সবজি বাজার। কোনও সবজিই মিলছে না ৮০ টাকার নিচে। এতে করে বিপাকে মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষগুলো। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, করলা ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৯৫ টাকা, বেগুন ৯০ টাকা, শসা ৯০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, পটল ১৩০ টাকা ও পাহাড়ি ছোট কাঁচা মরিচের ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রে হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় কাঁচামরিচের প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা তরিতরকারি নিয়ে কিছুটা সংকট দেখা দিচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে বেশিরভাগ সবজি আনতে হচ্ছে চট্টগ্রাম ও রানিরহাট থেকে। আর পাইকারি বাজারে সবজির দাম না কমলে খুচরা বাজারেও কমবে না।
আরেক সবজি ব্যবসায়ী জলিল মিয়া বলেন, দাম বেশি থাকায় সবজির চাহিদা কম। ক্রেতার তেমন বাজারে আসছে না। করোনায়ও ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি না আসলে স্থানীয় সবজি দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
রাঙামাটি বনরূপা বাজারে কথা হয় ক্রেতা রাসেল আহমেদ বলেন, কোনও সবজিই ৮০ টাকার নিচে নেই। এদেশে গরিবের খাবার আলু। তার দামও আকাশছোঁয়া। আমি জানতে চাই মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে। মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আজ বেশি কষ্ট ভোগ করছে। বাজারে প্রশাসনের নজড়দাড়ি নেই বলে সবজির এতো দাম।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. আরিফ জানিয়েছেন, স্থানীয় কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে এ বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে।
আনন্দবাজার/এম.কে