আগামী বছর পর্যন্ত আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ কমপক্ষে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কোনো অবস্থাতেই ৫৫ টাকার নিচে নামবে না। এর ওপরেই আমাদের বাঁচতে হবে আগামীবছর পর্যন্ত। গতকাল সচিবালয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ভারত যেকোনো সময় পেঁয়াজ বন্ধ করে দিতে পারে যদি তাদের ক্রাইসিস হয়। এ থেকে আমাদের একটা শিক্ষা হচ্ছে; আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আমাদেরকে পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হতে হবে। তারা (ভারত) তাদের লোকদের না খাইয়ে আমাদেরকে খাওয়াবে না।
আমাদের বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে। সেটা সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসে। ভারতের পেঁয়াজের বড় অংশ এ সময় আসে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ তাই ইজিপ্ট, তুরস্ক, ইরান, চায়না, মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে আমদানি খরচ পড়ে ৪৫ টাকা কেজি।
এরপর ৫ থেকে ৬ টাকা ভ্যাট রয়েছে। ফলে পাইকারিতে কমপক্ষে ৫০ টাকা পড়ে। তাই ৬০ থেকে ৬৫ টাকার নিচে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারজাত করা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি ৬০ টাকার নিচে রাখতে। যাতে মিনিমাম লাভ করা যায়। আমদানি করা পেঁয়াজ কোনো অবস্থাতে ৫৫ টাকার নিচে খরচ ফেলা যাবে না। এর ওপরেই আমাদের বাঁচতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা খারাপ দিক। তবে ভালো দিক হলো আমাদের কৃষকরা কিন্তু টাকা পাচ্ছে। তারা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পাচ্ছে। যা সামনে আরও বেশি করে উৎপাদন করতে উৎসাহ জোগাবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস