ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ৭১ কোটি টাকা

নওগাঁয় চতুর্থ দফা বন্যায় ৩৭ হাজার ৬১১ জন কৃষকের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৭১ কোটি টাকা। জেলার ১১টি উপজেলার ৫ হাজার ৭৮২ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং ১০৪ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণভাবে বন্যায় নষ্ট হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে হতে জানা গেছে, বদলগাছীতে ৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ১০ হেক্টর,রানীনগরে ৭৫৪ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৩০০ হেক্টর, নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭৩২ হেক্টর, মান্দায় ১ হাজার ৪৪০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২ হাজার ১৮০ হেক্টর, ধামইরহাটে ১২৩ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮৩ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমির ফসল চতুর্থ দফা বন্যায় নষ্ট হয়েছে। তবে নষ্ট হওয়া জমি থেকে কৃষকের ১৭ হাজার ৬৩৮ টন চাল উৎপাদিত হতো। এ চালের আর্থিক দর ৬৩ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

গেল জুলাইয়ের মাঝা সময়ে আত্রাই ও মান্দা উপজেলার পাঁচটি জায়গায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এর পর থেকে ভাঙা স্থান দিয়ে আবারও পানি প্রবেশ করে অনেক ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মান্দার কাশোপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব প্রামাণিক জানান, তিন বিঘা জমিতে ২১ জাতের আউশ ধানের চাষ করেছিলাম। ১৫-২০ দিন পর ধান কাটা লাগত। কিন্তু গেল বন্যায় ভাঙা স্থান দিয়ে দ্রুত পানি ঢুকে ধানগুলো পানির নিচে বিলীন হয়ে যায়। ফলে পানির নিচে থাকা ধানে চারা গজিয়ে যায়। শ্রমিকরা কোমর সমান পানির নিচ থেকে ধান কেটেছে। ওই আধাপাকা ধান কাটায় বিঘায় ১২-১৩ মণ ফসল পাওয়া গেছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ জানান, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কৃষক পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন