ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজিপুরে বন্যায় কৃষকদের ক্ষতি ৩৭ কোটি টাকা

চলতি বছর সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে কয়েকদফা বন্যায় ১৬ হাজার কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। এরইমধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করেছে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে হতে জানা গেছে, প্রথম দফা বন্যায় প্রায় ১২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন, পাট, শাকসবজি, মরিচ এবং ভুট্টার আবাদ করা হয়েছিল।

কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা আবার জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষ শুরু করেন। কিন্তু পরে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা বন্যায় কৃষকের ভুট্টা, মরিচ, কলাই, সবজি, কলা মিলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। পানি আবার নেমে গেলে পলি জমিতে আশায় বুক বেঁধে কাজিপুরের কৃষক গাইনজা, করঙ্গা ধান রোপণ করে।

সেইসাথে তারা মরিচ ও মাসকলাইও বুনে রাখেন। কিন্তু চতুর্থ দফা বন্যায় আবার সেসব ফসলও পানিতে বিলীন হয়ে যায়।  এর ১৫ দিন পর মৌসুমের শেষ বন্যার পানিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তবে শেষ বন্যার আগে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস নিজেরা ধানের চারা রোপণ করে বিনামূল্যে কৃষদের মধ্যে বিতরণ করেছিল। সেটাও শেষ হয়ে গেছে।

নতুন মাইজবাড়ির লিমন মিয়া জানান, সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে শেষবার সরকারি চারা নিয়ে তিন বিঘাত জমিতে ফসল লাগাইছিলাম। কিন্তুক ১০ দিন পরই বন্যার পানিতে তলায়ে সব শ্যাষ। এহন ধান নাই, কিন্তুক ঋণ থাইকল।

এই ব্যাপারে কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ইতোপূর্বে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে সরকারিভাবে তেমন কোনো প্রণোদনার ঘোষণা এখনও আসেনি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন