শুধু শাকসবজিতেই নয় বরং নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই লাগামহীন। করোনাকালে এমন ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজারে প্রান্তিক কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ছে ভোগান্তি।
সরজমিনে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় কয়েকটি সবজি দোকানে ঘুরে ক্রেতাদের মধ্যে বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের বাজারের এমন ঊর্ধ্বমুখীতে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষের।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার বেগুন ৭০ টাকা, পোটল ৪০-৬০, করোলা ৬০-৮০, কাঁচা মরিচ ২০০-২৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০-১০০, শুকনা মরিচ ১৫০-২৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০-২০, আলু ১৫-৪৫, ডিম ৩০-৪০, কচুরবই ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি কার হচ্ছে।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী মোসলেম বলেন, এ বছর বন্যায় অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা কিনছি বেশি দামে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে, প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে অসাধু দোকানির কারসাজিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এই লাগামহীন পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে। আর এখনই প্রশাসনের সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেরছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ছিব্বির আহমেদ বলেন, সবজির ব্যাপারে সরকারিভাবে আমাদের কাছে তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। তবে স্থানীয়ভাবে নির্দেশনা দিতে হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যার বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
আনন্দবাজার/এম.কে