করোনার ধাক্কায় অস্থির অবস্থাতেই আছে বিশ্বের তৈরি পোশাকের বাজার। তবে, বর্তমানে অনেকটাই ইতিবাচক হতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে পোশাকের আমদানি। আর চলতি বছরের করোনাকালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
গত সোমবার (৫ অক্টোবর) ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অধীনে অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন বাজারে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে ৩৭০ কোটি ডলারের। তবে চলতি বছর একই সময়ে তা নেমে আসে ৩০০ কোটি ৭৩ ডলারে। গেল বছর আগস্ট পর্যন্ত এই রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪২২ কোটি ৭৪ ডলার। কিন্তু চলতি বছর একই সময়ে আয় নেমে এসেছে ৩৬০ কোটি ৩৪ ডলারে। এসব তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় মার্কিন বাজারে এখনও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই আছে বাংলাদেশ। তবে, ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে আগিয়ে যাচ্ছে।
যেমন, ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ পোশাক রফতানি থেকে যে পরিমাণ আয় করেছে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে সেই আয় কমেছে ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। কিন্তু ৮ মাসের হিসাবে এই ব্যবধান অনেক কমে গেছে। আগস্ট শেষে এই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে। অর্থাৎ আগস্টে বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি। আর এতেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে যেমন এগিয়েছে তেমনি এগিয়েছে মার্কিন পোশাকের বাজার দখলেও। চলতি বছরে জুলাই থেকে গেল এক বছরে বাংলাদেশের দখলে ছিল মার্কিন পোশাক বাজারের ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। কিন্তু আগস্টে এসেছে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের দাপট। সবশেষ আগস্ট পর্যন্ত এক বছরের হিসাবে মার্কিন পোশাকের বাজারের ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশের দখলে। অর্থাৎ বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিকি ২০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, আগস্ট পর্যন্ত বাজার মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশ যথাক্রমে- চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশের ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ ,চীনের দখলে রয়েছে ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ভারতের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, ও ইন্দোনেশিয়ার দখলে রয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে