শাক-সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমারা অনেকেই সব শাকের গুন সম্পর্কে অবগত নই। কিন্তু বিশেষ কিছু শাকে উপকারিতার পরিমাণও অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো গিমে শাক।
এই শাক পুকুর বা জলাশয়ের ধারেই বেশি জন্মায়। তবে গ্রীষ্মকালের প্রকৃতির আর সকল উদ্ভিদ যখন প্রায় শুষ্ক হয়ে যায়, তখন গিমে শাক অনেক বেশি তরতাজা হয়ে উঠে। রোদের তাপ যত বাড়ে, গিমে শাকও তত সতেজ হয়।
এই শাক দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরি করে খাওয়া যায়। যেমন, পাকোড়া, ভর্তা বা ভাজি। এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান রয়েছে। নানা রকম ওষুধি গুণ রয়েছে। এর পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, হাইপোগ্লাইসেমিক পটেনশিয়ালসহ নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ওষুধি এবং অন্যান্য ব্যবহারেও এই শাক ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ শাক চোখ উঠলে বা চোখে পিচুটি পড়লে, লিভারের সমস্যা পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শাকের এমন অনেক অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে যা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়।আসুন জেনে নেই গিমে শাকের উপকারিতা সম্পর্কে-
> অম্লপিত্ত রোগে যাদের বমি হয় তাদের জন্য গিমে শাকের পাতা অনেক বেশি উপকারী। এজন্য এক চামচ পাতার রসের সাথে আমলকি ভেজানো পানি আধা কাপ মিশিয়ে খেতে হবে।
> চোখ উঠলে গিমে পাতা সেঁকে নিয়ে তার রস ফোঁটা ফোঁটা করে চোখে দিলে খুব দ্রুত চোখ ওঠা ভালো হয়ে যায়।
> লিভারের সমস্যা দেখা দিলে সপ্তাহে ৩/৪ দিন অল্প পরিমাণে গিমে শাক ব্যবহার করলে লিভারের ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে আসে।
> গিমে শাক বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি এবং অন্যান্য চর্মরোগ সেরে যায়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে